ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের উত্থান ও পুনর্বাসন ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের দুই রকম বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার সংবিধানের রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা যে পালিয়েছেন, তার (রাষ্ট্রপতি) কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি। আমরা দেখেছি, গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা করেছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছাত্রলীগ-যুবলীগের পতিত আত্মারা জড়ো হওয়ার পাঁয়তারা করছে। আপনারা প্রত্যেকটি ঘটনাকে যদি একত্র করেন, তাহলে দেখবেন, আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হয়ে এই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বে আমরা একটি পরিচয়ে একত্র হয়েছিলাম। আওয়ামী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। আমাদের সবার পরিচয় ছিল, আমরা মজলুম এবং আওয়ামী লীগ ছিল জালিম। ৫ আগস্টের পরে আমরা নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে পৃথক হয়ে গেছি। যার ফলে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে আবার আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিস্ট সরকার পুনর্বাসনের ছক কষছে।
সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, দেশবাসী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের আহ্বান, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্রশিবির, যারা গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন, আমরা আপনাদের কাছে আহ্বান জানাবো- নিজ নিজ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ৫ আগস্টের পূর্বে যেভাবে মজলুম হিসেবে জালিমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম, সেভাবে আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য এবং দেশ থেকে তাদের সমূলে উৎপাটনের জন্য আমাদের শেষ পর্যন্ত একত্র থাকতে হবে। আমরা পৃথক হয়ে গেলে সেই সুযোগটি আওয়ামী লীগের পতিত আত্মারা নেবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এজন্য আমাদের ঐক্যের বিকল্প নেই। যেকোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে, আমাদের মজলুম পরিচয়েই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ দরকার আমরা নেবো। ইনসাফের বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠিত করেই ছাড়বো।