ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং বিয়ে। বিয়ের আগে কথা ছিল একটা ব্যবসা শুরু ও বছরখানেক পরে ব্যবসার ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবেন। এ কথা বলে তরুণীর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে নেন ৫০ লাখ টাকা। আর এই ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার পর থেকে উধাও তিনি। পরে জোরপূর্বক ডিভোর্সও দেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা রিমুর সঙ্গে। আর এ ঘটনায় অভিযুক্ত তার স্বামী অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানির মালিক মাহবুব সাঈদী।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রিমু জানান, ২০২১ সালে কোম্পানি খুলে আমাকে ২০ শতাংশ শেয়ার মালিক করার কথা বলে আমার সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন। এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রও সম্পাদন হয় আমাদের মধ্যে। পরের বছর বিয়েও করে সে। কোম্পানি কিছুদিন পরিচালনার পর আমি তার বিভিন্ন অর্থনৈতিক জালিয়াতি ধরে ফেলি এবং এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে মাহবুব সাঈদী ২০২২ সালের এপ্রিলে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমি এবং আমার মাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জোর করে আমাকে ডিভোর্সও দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসার জন্য দেওয়া টাকা কিংবা লভ্যাংশ ফেরত দেয়নি। অপহরণ এবং দেনমোহর না দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও গত দুই বছর সে এবং তার সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির কারণে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।