আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাশাপাশি এটি ঘনীভূত হয়ে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হতে পারে। ভারত ও পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভারতের গুজরাটের ভুজ অঞ্চল থেকে ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে এবং করাচি থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাস বলছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হওয়ার পর সেটি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরপর উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের ওপর দিয়ে ওমানের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এরই মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাটে বৃষ্টিপাত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার কথা বলেছে কচ্ছ জেলা কর্তৃপক্ষ।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষার মৌসুমে এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে না।
পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ শুক্রবার বলেছে, ঘূর্ণিঝড় আসনা ধীরে ধীরে ভারতের কচ্ছর থেকে আরব সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি এখন করাচি থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। এটি সিন্ধুর উপকূলীয় অঞ্চল বরাবর পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিএমডির মহাপরিচালক মেহের সাহেবজাদা খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আসনা করাচি-গোয়াদার উপকূলে তৈরি হয়েছে। যার ফলে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার পর ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।