আলোচিত-সমালোচিত ‘শিক্ষাবিদ’ মুহম্মদ জাফর ইকবাল নাচছেন! তাও আবার বিজাতীয় হিন্দি গানের সুরে-তালে! তরুণীদের সঙ্গে উচ্ছ্বল নৃত্যরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক।
এমন একটি পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপরই নানা বয়সি মানুষের ‘ছি’ ‘ছি’ মন্তব্যের তীর যাচ্ছে জাফর ইকবালের দিকে!
ফরিদ উদ্দিন রনি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই ভিডিওটির একটি রিলস ছেড়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বলিউডের হিন্দি সিনেমা ‘লাভ আজ কাল’-এর পার্টি সং ‘টুইস্ট টুইস্ট’ গানটিতে কয়েকজন তরুণীর সঙ্গে নাচছেন জাফর ইকবাল!
২০০৯ সালে ভারতে মুক্তি পেয়েছিল ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ‘লাভ আজ কাল’। সেখানে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন সাইফ আলি খান ও দীপিকা পাড়ুকোন। সেই সিনেমারই গান ‘টুইস্ট টুইস্ট’।
ভিডিওটি দেখে ইসমত আরা সুমা নামে একজনের মন্তব্য, ‘এ জন্যই তো জাফর সাহেব সব পড়াশোনা নাচের ছলে ছলে তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যেন বড় হয়ে বাচ্চাগুলো ভবিষ্যতে স্যারদের সাথে নাচতে পারে।’
মো. তকি তাহমিদ তালুকদার নামে একজন আবার তার মন্তব্যে দাবি করেছেন, ‘ড. জাফর ইকবালের নানা ছিলেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। মুক্তিযোদ্ধারা জাফর ইকবালের নানা এবং ছোট মামাকে হত্যা করে। সোর্স: জীবন যে রকম, পেজ- ৭৪-৭৫ (আয়শা ফয়েজ, জাফর ইকবালের মা)।’
আয়েশা সিদ্দিকা নামে একজন লিখেছেন, ‘এক পা কবরে চলে যাচ্ছে, তাও চরিত্রের এই দশা! ইনি নাকি তরুণদের আইডল!!’
সৈয়দা জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত নামে একজনের মন্তব্য, ‘এই লোকের আচরণ বোঝা দায়, বড়ই অদ্ভুত। থেকে থেকে তার চেহারাটা লাগে কুৎসিত কিম্ভুত।’— এমন আরও বহু নেতিবাচক মন্তব্য জমা পড়েছে জাফর ইকবালের নাচের ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে।
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন জাফর ইকবাল। কিছুদিন আগে তিনি সমালোচনার কেন্দ্রে আসেন কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে।
সেসময় সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে এবং নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’
এই বক্তব্যের পর ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তারা স্লোগান দেয়, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার।’
এই স্লোগান শুনে জাফর ইকবালের মন্তব্য ছিল, ‘এখন তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে লজ্জা লাগবে। ছেলেমেয়েগুলোর মুখ দেখলেই মনে হবে রাজাকার। ব্যস, এতে আরও ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ। জাফর ইকবালকে অবাঞ্চিত ঘোষণার দাবিও উঠেছিল।