খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বাস ও পরিবহন কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে এখনও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আমির সোহেল ও দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন মারধরের শিকার হন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসুস্থ্য এক ছাত্র রাজীব পরিবহনে খুলনায় আসছিল। বাসে সিট দেয়ার কথা বলে সুপারভাইজার ও হেলপার তাকে বাসে তোলেন। কিন্তু সিট না দেয়ায় তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা তাকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: ‘আমার বাবা আমার বুকে মারা গেছে এবং সে সত্যটা বেরিয়ে আসলো’
এ ঘটনা শুনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে যান। তখন পরিবহন শ্রমিকরা শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষকদের লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে পৌঁছালে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।