‘জুয়া ও কোটিপতির’ গ্রাম নিয়ে পাওয়া গেল ভয়ানক তথ্য

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মো. ময়নদ্দিন ওরফে ময়না মেম্বারের বর্তমানে ৩টি আলিশান বাড়ি। কোমরপুর গ্রামে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তার ভাইয়ের বাড়ির পাশে একটি রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন। এ ছাড়া মেহেরপুর শহরে নীলমণি হলপাড়ায় মিমি বেকারির পাশে ছয়তলা একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন রয়েছে তার। কোমরপুর স্কুলপাড়ায় তার আরেকটি ভবন নির্মাণাধীন।

কোমরপুর গ্রামের আনসার মন্ডলের ছেলে ময়নদ্দিন ময়না কোনো বড় ব্যবসায়ী নন। তিনি মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করেন। কিন্তু এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আড়ালে পরিচালনা করে আসছেন অনলাইন জুয়া। অল্প দিনেই তার হাতে আসে আলাদিনের চেরাগ। এলাকায় অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ এসব আয়ের বৈধতা দিতেই ময়না এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করেন।

গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীপন্থি সব নেতাকর্মী পালালেও ময়না প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সমাজের বিভিন্ন বিচার-সালিশ করছেন। তার ভাই মশিউর রহমান মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং মুজিবনগর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় পত্রিকা ও অনলাইন কালবেলায় ‘অনলাইন জুয়া যেন এক গোলকধাঁধা, ‘ম্যাকানিজম’ বিদেশে বসেই’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে নামে কালবেলা। তাতেই বেরিয়ে আসে ‘জুয়া ও কোটিপতি’ খ্যাত গ্রাম নিয়ে ভয়ংকর সব তথ্য। সে গ্রামে জুয়ার ব্যবসা চালানোর অন্যতম হোতা ময়নদ্দিন ময়নার বিরুদ্ধে জানা গেল এসব তথ্য।