করণীয়
এ রাতে অবারিত রহমের বারিধারা বর্ষণ হয়। পাপ মার্জনার ঘোষণা হয়। মুমিনের উচিত এ সুযোগকে কাজে লাগানো। নিচে এ রাতের করণীয় কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
নফল নামাজে মগ্ন হওয়া
ফরজ ইবাদাতে আমরা ত্রুটি করে থাকি। নফলের মাধ্যমে ফরজের ঘাটতি দূর হয়। এজন্য উচিত, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। তাছাড়া এ রজনী যেহেতু মাহাত্ম্যপূর্ণ,তাই এ রাতের নফলের বিশেষ মাহাত্ম্যও রয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখা উচিত, যাতে নিদ্রার বিলম্বের কারণে ফজরের নামাজের ক্ষতি না হয়।
আরও পড়ুন: শবে বরাতেও ক্ষমা পাবে না যে ২ ধরনের ব্যক্তি
দোয়ায় শামিল হওয়া
মুমিন চায় তার মনোবাসনা পূরণ হোক। আর দোয়া হচ্ছে এ বাসনা পূরণের মাধ্যম। তাই উচিত, এরজনীতে আল্লাহর নিকট আর্জি পেশ করা। প্রিয় বস্তু কামনা করা। আল্লাহ তায়ালার কাছে বিনয়াবনত হওয়া। গুনাহ মার্জনার জন্য তাওবায় নিমগ্ন হওয়া। অতীত জীবনের জন্য লজ্জিত হওয়া।
কোরআন তেলাওয়াত করা
কোরআন পাঠ অশেষ সওয়াব অর্জনের মাধ্যম। বিশেষত এ রজনীতে কুরআন পাঠে মগ্ন থাকলে অধিক সওয়াবের আশা করা যায়। এবং তেলাওয়াতেও স্বাদ পাওয়া যায়।
বর্জনীয়
নিচে তুলে ধরা হলো, এ রজনীর বর্জনীয় কিছু বিষয়।
ইসলামি অঙ্গনে নেই এমন জিনিস এ রজনীতে করা
ইসলাম পরিপূর্ণ। সুতরাং এ রজনীতে মনগড়া ইবাদাত অগ্রহণযোগ্য। এজন্য সম্মিলিত নফল নামাজ বা সম্মিলিত নফল ইবাদত এ রাতে বর্জনীয়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নব আবিস্কৃত জিনিসকে বেদআত বলে আখ্যায়িত করেছেন। পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে ইরশাদ হয়ে,‘আমাদের এ ধর্মে নাই-এমন জিনিস যারা উদ্ভাবন করবে তা পরিত্যজ্য।’ ( বুখারি ২৬৯৭)
আতশবাজি ফোটানো
শবে বরাত ইবাদতের রাত। এ রাতে শুধু ইবাদতের জন্যই হওয়া উচিত। সুতরাং পথে পথে মিছিলের যাত্রা, যানজট সৃষ্টি, মানুষের সম্পদ, আতশবাজি ফোটানো, ইত্যাদি পরিহার করা উচিত।
হালুয়া, রুটি বানানো
এ রজনী বিশেষ জিনিসের গুরুত্ব বহনকারী নয়। এজন্য হালুয়া তৈরি করা, রুটি বানানো, এগুলোকে আবশ্যক মনে করা বা ইবাদতের অংশ মনে করা–নিছক ভুল এবং বর্জনীয়।
আরও পড়ুন: শবে বরাতের রোজা কয়টি?
মসজিদ সাজসজ্জা করা
পূণ্যময় এ রজনীর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তবে এর অর্থ এ নয় যে, এ রজনীকে কেন্দ্র করে মসজিদ সাজসজ্জা করতে হবে। এটাকে স্বতন্ত্র ইবাদত মনে করতে হবে। সজ্জা না করলে তিরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হতে হবে।