মেয়েদের শরীরের যেসব জায়গায় ভুলেও হাত দিবেন না

নিজের শরীরের যেখানে খুশি হাত দিতেই পারেন। কিন্তু হেলথ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীরের এই সাতটি জায়গা চেষ্টা করুন না ছোঁওয়ার। জানুন কোন সেই ৭ জায়গা, যেখানে ছুঁতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা-

কানের ভেতরে হাত নয়
আঙুল দিয়ে তো কান খোঁচাবেনই না, এমনকী কানের ভিতর অন্য কিছু দিয়েও খোঁচানোর চেষ্টা করবেন না। কারণ, একটু এদিক সেদিক হলেই খোঁচা লেগে কানের ভিতরের পাতলা পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে। সতর্ক করে দিয়েছেন কেক স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক, মাথা ও ঘাড় সার্জারি বিশেষজ্ঞ জন কে নিপারকো।

অযথা গালে হাত দেবেন না
সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়া বা ক্রিম মাখার সময়টুকু ছাড়া, পারতপক্ষে গালে হাত না দেওয়াই ভালো। কারণ হাতে শুধু জীবাণুই নয়, তেলও থাকে। বারবার গালে বা কপালে হাত দিলে, ত্বকের ছিদ্রপথ আঙুলে থাকা তেলের কারণে বন্ধ হয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে। ঘাম মোছা বা মুখ পরিষ্কারের জন্য প্রতিদিন পরিস্কার রুমাল ব্যবহার করুন। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন হেলথ ডার্মাটোলজির উপদেষ্টা আনন্দ নাসির।

পশ্চাত্‍‌দেশ চুলকাবেন না
গুড়া কৃমির কারণে মলদ্বার চুলকালে, অনেকেই খোঁটাখুঁটি করেন। তা না করাই ভালো। অপ্রয়োজনে মলদ্বারে হাত দিলে, হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ এই মলদ্বার শুধু সংবেদনশীলই নয়, নানাবিধ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ারও আঁতুড়ঘর। খোঁটাখুঁটি করলে আঙুল থেকেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের অন্যত্র চলে যেতে পারে। সতর্ক করেছেন ডাক্তার জারেড ডব্লিউ কেলিন। কোন সময় মলদ্বারে হাত দিলে, তৎক্ষণাত্‍‌ ভালো করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

চোখেও হাত নয়
অফথ্যালমোলজি বিশেষজ্ঞ কিমবেরলি ককারহামের পরামর্শ, সকাল উঠে মুখ ধোওয়ার সময় চোখে পানি দেওয়া বা কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময় ছাড়া চোখে হাতে দেবেন না। হাতে যে জীবাণু থাকে, তা সহজেই চোখে চলে যাবে। কখনও চোখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পরলে হাত ধুয়ে তবেই হাত দিন।

অযথা গালে হাত দেবেন না
সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়া বা ক্রিম মাখার সময়টুকু ছাড়া, পারতপক্ষে গালে হাত না দেওয়াই ভালো। কারণ হাতে শুধু জীবাণুই নয়, তেলও থাকে। বারবার গালে বা কপালে হাত দিলে, ত্বকের ছিদ্রপথ আঙুলে থাকা তেলের কারণে বন্ধ হয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে। ঘাম মোছা বা মুখ পরিষ্কারের জন্য প্রতিদিন পরিস্কার রুমাল ব্যবহার করুন। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন হেলথ ডার্মাটোলজির উপদেষ্টা আনন্দ নাসির।

পশ্চাত্‍‌দেশ চুলকাবেন না
গুড়া কৃমির কারণে মলদ্বার চুলকালে, অনেকেই খোঁটাখুঁটি করেন। তা না করাই ভালো। অপ্রয়োজনে মলদ্বারে হাত দিলে, হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ এই মলদ্বার শুধু সংবেদনশীলই নয়, নানাবিধ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ারও আঁতুড়ঘর। খোঁটাখুঁটি করলে আঙুল থেকেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের অন্যত্র চলে যেতে পারে। সতর্ক করেছেন ডাক্তার জারেড ডব্লিউ কেলিন। কোন সময় মলদ্বারে হাত দিলে, তৎক্ষণাত্‍‌ ভালো করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

চোখেও হাত নয়
অফথ্যালমোলজি বিশেষজ্ঞ কিমবেরলি ককারহামের পরামর্শ, সকাল উঠে মুখ ধোওয়ার সময় চোখে পানি দেওয়া বা কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময় ছাড়া চোখে হাতে দেবেন না। হাতে যে জীবাণু থাকে, তা সহজেই চোখে চলে যাবে। কখনও চোখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পরলে হাত ধুয়ে তবেই হাত দিন।

খালি হাত মুখে নয়
যখন-তখন মুখে হাত দেবেন না। ব্রিটেনের জার্নাল অফ অ্যাপলায়েড মাইক্রোবায়োলজির এক সমীক্ষায় জানা গেছে, কাজ করতে করতে অবচেতনেই লোকজন প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৩.৬ বার মুখে বা মুখের চারপাশে হাত দেয়। বিশেষত, একঘেয়েমির সময়। আবার খুব যখন ব্যস্ত, তখনও অন্তত গড়ে ৬.৩ বার মুখের চারপাশে হাত চলে যায়। আঙুল থেকে মুখের অভ্যন্তরে জীবাণু চলে যায়।

নাসারন্ধ্রে হাত দেবেন না
২০০৬ সালে নাক, কান ও গলার রোগীদের উপর গবেষণা চালিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘ইনফেকশন কন্ট্রোল অ্যান্ড হসপিটাল এপিডেমায়োলজি’। তাতে দাবি করা হয়, যারা খালি হাতে নাক খোঁটেন, তাদের নাসারন্ধ্রে স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ৫১% বেড়ে যায়।

নখের নীচের ত্বক
অনেক ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর হল নখের ঠিক নীচে ত্বক লাগোয়া অংশ, বিশেষত পায়ের নখের। নখের নীচে জমে থাকা ময়লার সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়াও বাসা বাঁধে। তাই খালি হাতে নখের ময়লা না খুঁটে, ব্রাশজাতীয় কিছু দিয়ে পরিষ্কার করাই ভালো। একই কারণে দাঁতেও নখ কাটবেন না। নখ বড় রাখলে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও বাড়বে। তাই নখ বাড়তে না দিয়ে, কেটে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন ব্রিটিশ ডার্মাটোলজিস্ট ডেভিড ডে বেরকের।