প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজেদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ তথ্য জানান।
সিনিয়র সচিব জানান, প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। এ বছরেরটা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। সিলগালা খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ হিসাব জমা দিতে হবে।
ভুল তথ্য থাকলে ১৯৭৯ বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এটি প্রয়োজ্য হবে বলেও এসময় জানান তিনি।
তিনি জানান, এই অনুশাসনমালা সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারিভাবে কর্মচারী বলা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
আদালতের আদর্শ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সম্পদ বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ অংশ বিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সম্পদ বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ প্রযোজ্য হবে না।
তিনি বলেন, সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে কি হবে- অনেকে জানতে চেয়েছিলেন? জমা না দিলে অনেক কিছু হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৪(৫)(গ) উপবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর জন্য লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিরস্কার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ আদায়, বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হচ্ছে লঘুদণ্ড।
অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।