বিশাল বড় সুখবর পেলেন তারেক রহমান

নোয়াখালীতে জেলা যুবলীগের এক নেতার করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাত ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, খুনি, পাক বন্ধু বলে অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অস্বীকার করে দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টার অভিযোগ ওঠে।

তারই জেরে গত ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলি আদালতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই সিকদার মো. সাইফুল ইসলাম ও এসআই মো. জসিম উদ্দিন গত ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করলে তারা ঘটনার কিছুই জানেন না বলে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে আদালত ১ অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন।

মঙ্গলবার সকালে আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে অভিযোগকারীর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক কৈশর।

তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, অ্যাডভোকেট রবিউল হক পলাশ, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ও অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান শাকিলসহ অর্ধশত আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন।

অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাদী তাকে হয়রানি করেছে। এ ঘটনায় বাদী একরামুল হক বিপ্লবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’