স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ পুরুষেরই পছন্দের তালিকায় রোগা মেয়েরা থাকে। তাদের মধ্যে ধারণা থাকে যে মোটা মেয়েরা ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না, ছেলেমেয়ের দেখাশোনা করা বা পরিবারের প্রতি দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করতে পারে না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। স্ত্রী হিসেবে একজন রোগা, মেদহীন মেয়ের থেকে যারা অপেক্ষাকৃত একটু মোটা তারা বেশি ভালো হয়। কিন্তু কেনো এমনটা বলা হচ্ছে, জেনে নিন।
গবেষণা বলছে, জীবনে সুখী হতে হলে অবশ্যই একটু মোটা মেয়েকে বিয়ে করা উচিত। রোগা শরীরের মেয়েরা অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়। স্বামীর সঙ্গে তারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতেও অনেকটা সময় নেয়। কিন্তু মোটা মেয়েরা এগুলো খুবই তাড়াতাড়ি করে ফেলতে পারে।
বিজ্ঞানীদের মতে রোগা স্ত্রীদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত মোটা স্ত্রীরা তাদের স্বামীকে বেশি খুশি রাখে। তারা তাদের স্বামীর চাহিদাও অনেক ভালো বোঝে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রেও অপেক্ষাকৃত মোটা স্ত্রীরা একটু বেশিই সক্রিয় হয়।
এছাড়া মোটা মেয়েরা খুব বেশি ঝগড়া করে না, ফলে তাদের সাথে সংসার করা অপেক্ষাকৃত সহজ। সন্তানের যত্ন হোক বা পরিবারের প্রতি আগ্রহ, গবেষকদের মতে এক্ষেত্রেও মোটা মেয়েরা বেশ কিছুটা এগিয়েই। তাই বিজ্ঞানীদের মতে রোগা মেয়েদের তুলনায় স্ত্রী হিসেবে একটু মোটা মেয়েরাই ভালো।
প্রেম এবং যুদ্ধে সব কিছুই ন্যায্য। সত্যি বলতে প্রেম একটি সুন্দর অনুভুতি যা কোন বিভেদ বা সীমানা জানে না। প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স একটি অজুহাত মাত্র, কারন প্রেম বয়স মানে না। এই গতানুগতিক ব্যবধানে প্রেম এখনকার গল্পের ক্ষেত্রে একটা বোঝার সামিল। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনার জীবন সঙ্গিটি যদি আপনার থেকে বয়সে বড় হয় তবে?
তখন আপনার সব থেকে বড় শত্রু হয়ে উঠবে আপনার সমাজ। সমাজ কখনই গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে প্রেমকে ভাবেনি। তাই আপনি নিশ্চিত থাকুন কেউ খোঁচা দিক বা না দিক, সমাজ আপনাকে খোঁচা দেবেই। চলুন তবে জেনে নি সেই কারন গুলো যেই জন্য মেয়েরা কম বয়েসি ছেলেদের প্রেমে পড়ে থাকে –
১। বয়স্ক পুরুষদের কাঁধে দায়িত্ব প্রচুর থাকে, নিজের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে এদের মাথায় চিন্তা বাসা বাঁধে। সংসারের সমস্ত রকম সুবিধের কথা এরা খুব ভালো করেই বিচার করে থাকে। ফলে অন্যান্য উদ্দিপনা এদের কাছে ফালতু সময় নষ্ট, কিন্তু কম বয়সি ছেলেরা সব সময় উদ্দিপনায় মত্ত। ফলে এদের দিকেই আকৃষ্ট হয় মহিলারা।
২। কম বয়সি ছেলেরা খোলা মনের এবং তুলনা মুলক কম জটিলতা জানে। ফলে এই জিনিস গুলি মহিলাদের কম বয়সি ছেলদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার আরেক কারন। ৩। তরুন ছেলে পুলেরা সাধারনত কম অভিজ্ঞ, যার ফলে এরা কোন কিছুর বিচার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। চুল চেরা বিচার এদের ধাতে সয় না। অন্য দিকে বেশি বয়সের পুরুষরা সম্পর্কের চুল চেরা হিসেব চায় ফলে মুশকিলটা হয় সেখানেই।
৪। কম বয়সি ছেলেরা অনেক বেশি রোম্যান্টিক হওয়ার ক্ষমতা রাখে কিন্তু, যা মহিলা দের উৎসাহিত করে। ৫। বেশি বয়সের মহিলাদের যেহেতু আগে থেকেই কেই না কেউ থাকে, ফলে এদের প্রাক্তন এদের নতুন সম্পর্কে বিচ্ছিন্ন ভাবে জড়িয়ে থাকে। কিন্তু কম বয়সি ছেলেরা এই সম্পর্কের গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
৬। অল্প বয়সি সঙ্গির সঙ্গে বেশি বয়সি প্রেমিকাকেও অল্প বয়সি মনে করায়, যা তাদের এক অন্যতম উন্মাদনার কারন। ৭। যুবক সঙ্গী সমস্ত রকম নতুন কাজ খুব মজা ও আগ্রহের সাথে করে থাকে যা এক অন্য জগতে নিয়ে যায় বেশি বয়সি মহিলাদের।
৮। যুবকদের শারীরিক গঠন বেশি বয়সি পুরুষদের তুলনায় তুলনামুলক বেশি আকর্ষণীয়, এইটিও একটি কারন। ৯। তাছাড়া যেহেতু বেশি বয়সি মহিলারা অনেক অভিজ্ঞ, তাই তাদের গ্যান কম বয়সি ছেলেদের কাছে মুল্যবান, তাই তারা মন দিয়ে সঙ্গিনীর কথা শুনে থাকে।
১০। তরুনদের সাহসিকতায় মেশানো জীবন মহিলাদের আরও আকৃষ্ট করে ছেলেদের প্রতি।