ফেসবুকে দাম কম বাজারে বেশি, অবশেষে কারণ জানা গেল

গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশকিছু দ্রব্যের একটি মূল্যতালিকা ঘুরপাক খাচ্ছে। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেইজে ওই তালিকাকে ‘সরকারের বাজার মূল্যতালিকা’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। তবে তালিকাটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

শনিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের অনুরোধক্রমে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার থেকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি বাজার মূল্যতালিকা প্রচার করা হচ্ছে, যা অধিদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সরকার কর্তৃক বর্ণিত পণ্যসমূহের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্ত‌রের মহাপরিচালক বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত একটি বাজার মূল্যতালিকা প্রচার করা হচ্ছে, যা অধিদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সরকার কর্তৃক বর্ণিত পণ্যসমূহের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি অনুরোধ করা হলো।’

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের ফেসবুক পেজ ও গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছি।’

এর আগে, ফেসবুকসহ বি‌ভিন্ন সামা‌জিক মাধ্যমে আলুর দর ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির দর ঠিক করা হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি বলে দাবি করা হয়। এর দামের বেশি চাইলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।