পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বন্যায় বাংলাদেশের যারা তাদের স্বজন, বাড়িঘর এবং কর্মস্থল হারিয়েছেন, পাকিস্তানের জনগণ তাদের পাশে আছে। আমরা আশা করছি যে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিগগিরই বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠবে।
এই কঠিন সময়ে আমরা বাংলাদেশকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।” এর আগে গত ১৯ আগস্ট ড. মুহম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। সেই চিঠিতে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ককে ফের এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে শনিবার (২৪ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মী পুর ও কক্সবাজার জেলা বন্যা কবলিত। এসব জেলায় মোট নয় লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন মানুষ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) তিনি এই চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।
ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ১৮ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বৃষ্টি থামায় কিছু স্থান থেকে বানের পানি নামতে শুরু করলেও অন্তত সাতটি নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে বইছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে তিন হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ এবং ২১ হাজার ৬৯৫টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য অন্তত ৭৭০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।