অতিরিক্ত চুলকানি হলে দ্রুত করণীয়

অনেক মানুষই ত্বকের চুলকানি সমস্যায় ভোগেন। বলা যায়, চুলকানি ত্বকের বিব্রতকর রোগ। ত্বকের এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুরুতেই যে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এমন নয়। ত্বকে চুলকানি অনুভূত হলে প্রথমে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ত্বকের চুলকানি কোনো মারাত্মক রোগেরও উপসর্গ হতে পারে।

যেমন— কিডনির রোগ, লিভারের রোগ, সেলিয়াক রোগ ও লিম্ফোমা। শীতে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। কারণ এ সময় ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়। ফলে কখনও কখনও ফুসকুড়িও ওঠে, যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। চিকিৎসার পরিভাষায় এর নাম ‘অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস’। অ্যালার্জির কারণে অথবা বিশেষ কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও এমন হতে পারে। ঘরোয়া উপায়েই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকতে পারে।

চলুন জেনে নেই ত্বকে চুলকানির সমস্যা কমাতে কী করণীয়—

ত্বকে চুলকানির সমস্যা থাকলে সারা বছর কুসুম গরম পানিতে গোসল করা ভালো। গোসলের পরেই সারা শরীরে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।

radhuni

ভিটামিন ই অয়েল ও লেবুর রস

১ চা চামচ মতো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে চুলকানি প্রভাব কমে আসবে। হালকা গরম পানিতে গ্রিন-টি ব্যাগ ভিজিয়ে চুলকানির স্থানে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।

ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন

বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত বেসিক ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের রুটিন মানতে হবে। ত্বকে সাবানের পরিবর্তে হালকা কোনো ক্লিনজার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা জেল ও কর্ন স্টার্চ মাখুন

ত্বকের জ্বালাভাব বা চুলকানি জাতীয় সমস্যার সমাধানে অ্যালোভেরা আর কর্ন স্টার্চের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। তিন ভাগ অ্যালোভেরা জেল ও এক ভাগ কর্ন স্টার্চ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলকানির স্থানে লাগাতে পারেন।