ঢাকায় জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে সন্ত্রাসীরা ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন এমন কথা বলছেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক।
চাঁদা না দিলে গুলি ও বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকিও। ছবি: সময় সংবাদ
চাঁদা না দিলে গুলি ও বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকিও। ছবি: সময় সংবাদ
মাসুদুর রহমান
২ মিনিটে পড়ুন
রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। চাঁদা না দিলে গুলি ও বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করছেন, দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকিও। গত ৩ মাসে ১০টি ঘটনায় নাম এসেছে ইমন, সুব্রত, হেলাল, সুইডেন আসলামসহ কয়েকজনের। সম্প্রতি সময় সংবাদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন সব তথ্য।
ঘটনা বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ধানমন্ডি ৭ নম্বরের এ-তে সাত থেকে আটটি ভবন তৈরির কাজ চলছে। গতবছরের ৩০ ডিসেম্বর ৫ থেকে ৬ জন যুবক এসে যোগাযোগ করতে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যান। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে পুলিশের খাতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের পরিচয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
চাঁদা না দিয়ে পুলিশি পাহারা বসালে হামলা চালান সন্ত্রাসীরা। ভবনের সামনে এসে দরজা খুলে ফাঁকা গুলি করার পর পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসীও।
গত ১০ জানুয়ারি এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এখানেও নাম আসে ইমনের। তবে আহতরা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের ভাই হওয়ায় দুজনের দ্বন্দ্বের বিষয় সামনে এলেও ভুক্তভোগীদের দাবি, জড়িত কেবল ইমন।
রাজধানীর মগবাজারের বিশাল সেন্টারের দুটি দোকান দখলের চেষ্টা করে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। মাঝে মাঝে মহড়া দিচ্ছেন তার লোকজন।