৫ আগস্টের পর জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে নতুন করে অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগ এসেছে পিচ্চি হেলাল-ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। কারো কারো বিরুদ্ধে হয়েছে হত্যা, হত্যা চেষ্টাসহ চাঁদাবাজির মামলা।
শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায়? জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলছেন, ৫ আগস্টের পর জামিনে জেল থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের অবস্থান শনাক্ত ও অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
আদাবরে বালুর মাঠে ছিনতাইকারীদের হাতে এক যুবকের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় চারজন, কোতয়ালীর কোর্ট বিল্ডিং এর সামনে স্বর্ণ ছিনতাইয়ে ছয়জন, পল্টনে প্রাইভেটকার চালক সাজু মিয়া হত্যার মূল আসামি ও যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ ছাত্র মিনহাজ হত্যায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের পর আজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিবি পুলিশ।
গত ১৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছিলেন, কোনো সন্ত্রাসী রক্ষা পাবে না। সে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এরপর গত ২১ জানুয়ারি দুপুরে ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছিলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে ডিএমপি। আদালত কর্তৃক জামিনে জেল থেকে বের হয়েছে। তাদের প্রতি নজরদারি রাখা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় জেলে থাকার পরও তাদের মধ্যে কোনো সংশোধন নাই, এটা খুবই দুঃখজনক। বয়স হলেও জেল থেকে বের হয়ে সেই আগের মতো চাঁদাবাজি, দলাদলি শুরু করে দিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাচ্ছি। জেল থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নানা ধরনের অপকর্মে জড়াচ্ছেন। আমরা জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করবো।
তিনি বলেন, দেখতেছি, ক’দিন আগেও দেখলাম বেনজীরের ক্যাশিয়ার খ্যাত জসিম জামিন পেয়েছেন। পত্রিকায় নিয়মিত খবর হচ্ছে সুব্রত, পিচ্চি হেলাল ও ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে। আধিপত্য নিয়ে তারা বিরোধে জড়াচ্ছেন। নানা অপকর্মে জড়ানোর তথ্য পাচ্ছি। রেকর্ড হচ্ছে, মামলা হচ্ছে। আমরা পেলেই ধরে ফেলবো। কাউকে ছাড় দেবো না। আপাতত আমরা তাদের জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করবো।