বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যার কোন ভূমিকাই ছিলো না তিনি এখন সমন্বয়ক দাবী করে বেড়াচ্ছে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সমন্বয়ক দাবী করা জাকির হোসেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুদেব সাহার রাজনৈতিক পিএস হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় গত ১৮ জুলাই মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নিষ্ঠুর হামলা চালায়। এরপর গত ৪ আগস্ট মানিকগঞ্জে ছাত্রদের পক্ষে সারা জেলার মানুষ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। গত ১৮ জুলাই এবং ৪ আগস্ট বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র লীগের নেতা জাকির হোসেন কোন আন্দোলনে অংশ নেননি। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাথে জড়িত ছিলেন। গত ৬ আগস্ট থেকে তিনি নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে বেড়াচ্ছে। এতে প্রকৃত ছাত্র আন্দোলনে জড়িত সমন্বয়কেরা বিভ্রান্তিতে পড়ছে।
জাকির হোসেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও মন্ত্রীসহ জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজার নেতৃত্বে বিভিন্ন সভা সমাবেশে অংশ নেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকে রক্ষা করতে এখন সমন্বয়ক পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। মানিকগঞ্জের আওয়ামী পন্থী এক সাংবাদিকের ছত্রছায়ায় তিনি প্রকৃত সমন্বয়কদের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা যায়। ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে সমম্বয়কের ভূমিকায় অভিনয় করছে বলে দাবি করেছে একটি সূত্র।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, জাকির আমাদের সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে। পাশাপাশি ও একটা সামাজিক সংগঠন করতো। ওই সামাজিক সংগঠনে বেশ কিছু সুন্দরী মেয়েদের রেখেছে সে। মূলত ওই সুন্দরী মেয়েদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে। জাকির সাবেক এমপি এস এম জাহিদের কাছের লোক ছিলো। সুদেব সাহার পিএস হিসেবেও কাজ করেন সে।
এ বিষয়ে সমম্বয়ক দাবী করা জাকির হোসেন বলেন, আমি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের পক্ষে রাজপথে খখনও দেখা যায়নি কেন জানতে চাইলে এ প্রশ্নের জবাবে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।