বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়ার বিষয়ে যা জানাল ভারত

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল জানিয়েছেন, আপাতত বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র চিকিৎসা ও এবং জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা দেয়া হচ্ছে। তাদের কার্যক্রম চলছে সীমিত পরিসরে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা দেয়া স্বাভাবিক হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা প্রদান করছি। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আইন ও শাসন ফিরে আসবে, তখন আমরা ভিসা নিয়ে পরিপূর্ণ কাজ শুরু করব।’

এদিকে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম স্থগিত করে ভারত। ১৩ আগস্ট ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভেক) থেকে জানানো হয়, তারা সীমিত পরিসরে পুনরায় বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে। এ অবস্থায় ভিসা না পাওয়ায় গত ২৬ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে অসংখ্য ভিসাপ্রত্যাশী বিক্ষোভ করেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন বলছে, শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতকে জড়িয়ে সিএনএনের করা এক প্রতিবেদনের বিষয়েও কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

তিনি সিএনএনের প্রতিবেদনকে ‘বিভ্রান্তিকর ও অসত্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

রণধীর জসওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবে সত্য নয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল, সেটির বক্তব্য এই প্রতিবেদনে উপেক্ষা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া যৌথ পানি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা যে (বাংলাদেশের সঙ্গে) নিয়মিত এবং সময়মতো তথ্য আদান-প্রদান করি সেটিও প্রতিবেদনে বলা হয়নি।’

এছাড়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের তাকে ফেরত চাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন রণধীর জসওয়াল। তিনি বলেন, হাসিনা খুবই স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছিলেন। এর বাইরে এ বিষয়ে তার বলার কিছু নেই।