সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপির ঢাকাসহ চারটি মহানগর কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর এবার দলের কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে বড় রদবদল করা হয়েছে। দলটির এই কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু কাউন্সিল করতে না পারা এই কমিটির ৩৯টি পদে রদবদলের কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ পদে নেতাদের কাউকে কাউকে নতুন যুক্ত করা হয়েছে, আবার কারও কারও পদ পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে। সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কাউন্সিল না হওয়ায় এই কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান দলটির গঠনতন্ত্রে রয়েছে। এখন কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে রদবদল আনা হলো।
এই রদবদলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলে ১০ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা এত দিন এই কমিটিতেই বিভিন্ন পদে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে জহির উদ্দিন স্বপন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রয়েছেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে। তাঁরা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ড. আসাদুজ্জামান রিপনকে (সম্পাদক, বিশেষ দায়িত্বে) করা হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান।
উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হলো যাঁদের
জহির উদ্দিন স্বপন (সাবেক এমপি), এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ, আসলাম চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হাসান জীবন, বেবী নাজনীন ও খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিন।
সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে যুগ্ম মহাসচিব হলেন যাঁরা
আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী।
কয়েকজনের দায়িত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে
জালাল উদ্দিন মজুমদার, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সায়েদুল হক সাঈদ, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক, এস এম গালিব—এই পাঁচজনকে সহসাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাহী কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে কয়সর এম আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু (সুইডেন) সদস্য, গাজী মনির (ডেনমার্ক) সদস্য, রাশেদ ইকবাল খান (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ছাত্রদল)।