নাকের নিচে ঘাম জমে? তাহলে জেনে নিন আপনার ভাগ্যে যা আছে

গরমে নাকের নিচে ঘামার সমস্যা থাকে অনেকের। যাদের এই সমস্যা থাকে, তাদের জন্য বিষয়টা দারুণ অস্বস্তির। কারণ, জিনিসটার উপর আপনার কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। যাদের নাকের নিচে ঘামে, তাদের জন্য রইলো কার্যকরী কিছু টিপস।

সতর্কতা ডে ক্রিমে
দিনে মাখার ক্রিম বা ডে ক্রিম ত্বকের জন্য ভালো হলেও এটা গরম ধরে রাখে। তাই ডে ক্রিম ব্যবহার করলেও মুখের যে অংশে বিশেষত নাকের নিচের অংশে এমন ক্রিম মাখবেন না। এমনকি রোদ থেকে রক্ষা করে যেসব ক্রিম বা লোশন সেগুলোও ঠোঁটের ওপরের অংশে লাগানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। মূল কথা হল, ডে ক্রিম বা সানব্লক যেটাই মাখুন না কেন, ঘাম হয় এমন জায়গায় হালকা করে লাগাবেন।

মানসিক চাপ নেবেন না
স্ট্রেস বা মানসিক চাপে থাকলে মানুষ ঘামে বেশি। সাজগোজ করে বাইরে গেলেন আর লোকজনের সামনে নাকের নিচে ঘামতে শুরু করল, বিষয়টা অস্বস্তির। অন্যের সামনে অস্বস্তিতে পড়ার দুশ্চিন্তা থেকে অনেকেই মানসিক চাপে ভোগেন। এতে করে আরও বেশি করে ঘাম হয়।

নিজেকে বোঝান, বিষয়টা অস্বস্তিকর হলেও সবাই কম-বেশি ঘামে। এটা খুবই স্বাভাবিক শারীরিক ব্যাপার। ঘাম হওয়া নিয়ে মানসিক চাপ নেওয়া বন্ধ করলে দেখবেন ঠোঁটের ওপরের অংশ আগের চেয়ে কম ঘামছে।

মেকআপ সমাধান নয়
অনেকেই আছেন, নাকের নিচে ঘামা বন্ধ করতে একগাদা ফাউন্ডেশন লাগিয়ে সমাধান খোঁজেন। কিন্তু পুরু করে ফাউন্ডেশন লাগালে আপনার ত্বকের ওই অংশে আরও গরম লাগবে। ফলে ঘাম বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি ঘাম হবে। এবং ঘাম হলে ফাউন্ডেশন বা অন্য মেকআপ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

ঘামরোধী পণ্য
বাজারে ঘামরোধী অনেক ধরণের প্রসাধন পাওয়া যায়। কিন্তু কেনার আগে লিফলেটে দেখে নিন সেগুলো মুখে মাখানো যাবে কিনা।

পোশাক
শুধুমাত্র মুখে গরম লাগলেই নাকের নিচে ঘামে তা নয়। সামাগ্রিকভাবে গরম কম লাগলে ঘাম কম হবে। গরমে তাই এমন কাপড় পরুন যেগুলোতে গরম কম লাগবে। চেষ্টা করুন সুতি, লিনেন বা সিল্কের হালকা রঙের পাতলা কাপড় বেছে নিতে। এতে শরীরে বাতাস চলাচল করবে ও আপনি কম ঘামবেন।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে
উপরের সব কিছু মেনে চলার পরেও যদি নাকের নিচে অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসক ঘামরোধী ওষুধ দেবেন। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যেতে হলেও ব্যাপারটা নিয়ে বেশি চিন্তা না করবেন না। এটাই নাকের নিচের ঘাম বন্ধ করতে অধিক কার্যকরী।