কিছু পরীক্ষা বাতিলের কারণে এইচএসসি ও সমমানের ফল নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা কেটেছে। আগামী ১৫-১৯ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং করলে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের জন্য আরও বেশি সময় লাগতে পারতো। এই সমস্যা এড়াতে এবার শুধুমাত্র এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে, ফলে কাজটি সহজ হয়েছে। এরই মধ্যে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ হবে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এতে ১৫-১৯ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো দিন ফল প্রকাশে তারিখ চাওয়া হয়েছে।
কমিটির ওই সদস্য বলেন, ‘মাসের মাঝামাঝি সময় বলতে ১৫-১৯ তারিখের মধ্যে আমরা তারিখ চেয়েছি। তবে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে ৯-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজ ছুটি। কলেজ ছুটির সময়ে যদি ফল প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের আপত্তি না থাকে, তবে এ সময়ের মধ্যেও হতে পারে। আর তা না হলে ১৮ ও ১৯ অক্টোবরের যে কোনো একদিন ফল প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি।’
ফল প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘অক্টোবরের মাঝামাঝিই আমরা ফল প্রকাশ করবো। কিন্তু একেবারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ কবে যদি জিজ্ঞাসা করেন; সেটা বলা এখন সম্ভব নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত নির্দেশনা পেলে নির্দিষ্ট দিন জানানো যাবে।’
উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ১১ আগস্ট। এরই মধ্যে পরীক্ষার্থীদের একটা অংশ স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে বাতিল করা হয় স্থগিত সব পরীক্ষা। সিদ্ধান্ত হয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলোর ফল নির্ধারণ করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার মাধ্যমে।