আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব তার এশীয় ক্রেতাদের জন্য অপরিশোধিত তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে এর প্রভাব পড়ে।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গতকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২.৮৬ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৭১.৬৯ ডলার। এর পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২.৭১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৭৬.৬১ ডলার।
এদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও ৩.৩৩ শতাংশ কমে প্রতি এমএমবিটিইউ হয় ২.৭৯ ডলার। একই দিন ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের বাজারেও গ্যাসের দাম কমেছে।
এশীয় ক্রেতাদের জন্য নিজেদের অপরিশোধিত তেলের ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড আরব লাইট ক্রুডের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন কম্পানি আরামকো। আরামকোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এশীয় ক্রেতারা প্রতি ব্যারেল আরব লাইট ক্রুডে ১.৫ ডলার থেকে দুই ডলার পর্যন্ত ছাড় পাবেন। আরামকো এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর সোমবার (৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। সূত্র : রয়টার্স
এদিকে গত বছর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০ শতাংশ কমেছিল। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও তেল উত্তোলনকারী বড় দেশগুলোর তেল উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে এ বছর তেলের দাম কমেছিল।
গত বছর ডিসেম্বরে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বা ১১ সেন্ট কমে ৭৭ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে নেমেছিল। অন্যদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বা ১২ সেন্ট কমে ৭১ দশমিক ৬৫ ডলারে নেমেছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, উভয় ধরনের তেলের দাম এ বছর (২০২৩ সালে) ১০ শতাংশের বেশি কমেছে। ফলে বছরের শেষ ভাগে তেলের দাম ২০২০ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
এর আগে ২০২২ সালের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। বছরের শেষ প্রান্তে অবশ্য দাম কমতে শুরু করে।