এই পরিস্থিতিতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল সফল করতে কর্মীদের জন্য কিছু বার্তা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যা দলটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে।
বার্তাগুলো হলো
> আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, আমরা কোনোরকম নাশকতার ফাঁদে পা দেব না।
> কাউকে পুলিশ, র্যাব কিংবা সেনাবাহিনী আটক করতে গেলেই সমস্বরে জয় বাংলা স্লোগান দেবেন, আশপাশের সবাই তাকে উদ্ধারের জন্য চলে যাবেন।
> কোনো অবস্থাতেই নিজের মোবাইলে কোনো তথ্য রাখবেন না।
> পরিচিত সহযোদ্ধাদের নাম ভিন্ন নামে মোবাইলে সেভ করে রাখবেন।
> সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং কোড ওয়ার্ডে কথা বলবেন।
> যেখানে জমায়েত হওয়ার কথা ছোট ছোট গ্রুপে মুভ করবেন।
> বাঁধা আসলে পুলিশকে স্মরণ করিয়ে দেবেন তারা কাদের পক্ষ নিচ্ছে? কারা তাদের রাস্তায় ঝুলিয়ে মেরেছে?
> সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো তর্ক বিতর্কে যাবেন না, তারা মিছিলে বাঁধা দেবে না।
এদিকে, আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে গুলিস্তানে শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই অবস্থান নেয় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী সন্দেহে দুজনকে মারধরের পর পুলিশে দেয়া হয়।
রোববার সকাল থেকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় পাহারা দেন ছাত্র-জনতা। আর বিশৃঙ্খলা এড়াতে গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বর ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। জিরো পয়েন্টসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে অন্যদিনের তুলনায় পুলিশের বাড়তি সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।