এরকম কথা অনেকেই শুনেছেন যে মেয়েদের বিয়ের পরে ওজন বেড়ে যায়, তাদের দেখতে আগের থেকে বেশি মোটা লাগে। আবার পরিচিত অনেককে দেখবেন, বিয়ের পরে তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে গিয়েছে। এসবে পেছনে যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা সত্যিই কি রয়েছে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই মানুষের মনগড়া? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
আমাদের ওজন বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে জেনেটিক্স, জীবনধারা এবং হরমোনের পরিবর্তন ইত্যাদি। এসবের দ্বারা যে কারও ওজন প্রভাবিত হতে পারে। বিয়ের পরে মেয়েদের জীবনধারায় বেশি পরিবর্তন আসে। কারণ তারা চেনা পরিবেশ ছেড়ে নতুন এক পরিবেশে স্থায়ী হন। জীবনযাপনের এই পরিবর্তনের কারণে তার বড় প্রভাব পড়ে ওজনের ক্ষেত্রেও।
বিয়ের আগে সব মেয়ের মধ্যেই নিজেকে ফিট রাখার এক ধরনের প্রচেষ্টা থাকে। সেই সময় তারা নিজের ওজন ধরে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু বিয়ের পরে সেই আগ্রহেই ভাটা পড়ে। সব মেয়ের মধ্যেই এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব চলে আসে। জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার পর তারা নিজের চেহারা ও ফিটনেস নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেয় অনেক সময়। যে কারণে ওজন বেড়ে যায়।
হরমোনের প্রভাব
বিয়ের পর নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের কারণে ইস্ট্রোজেন হরমোন বাড়ে। এই হরমোন খাদ্য থেকে চর্বি শোষণ হওয়ার পর তা শরীরে জমাতে থাকে। এ কারণে বিবাহিত নারী মোটা হয়ে যেতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বিয়ের পরে মোটা হওয়ার কারণ হিসেবে কোনো ফিজিওলজিকাল কারণের উল্লেখ করেননি।
ঘুমে অনিয়ম
বিয়ের পরে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে সব মেয়েরই। যে কারণে তার প্রভাব পড়ে ঘুমের ক্ষেত্রেও। নতুন জায়গায় ঘুমে অনিয়ম হতে পারে। আর অপরিমিত ঘুম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, একথা জানা আছে নিশ্চয়ই।
নিশ্চিন্ত থাকার কারণে
বিয়ের পরে অনেক রকম দুশ্চিন্তা কমে যায়। মেয়েরা স্বামীর কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। যে কারণে মন ও শরীর প্রশান্তি পায়। এর ফলেও ওজন কিছুটা বাড়তে পারে। আবার বিয়ের পরপরই অনেক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত থাকে। সেখানে ভালো ভালো খাবারের আয়োজন থাকে। সেসব খাবার খেয়েও ওজন কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।