যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় খারাপ ফল করা শিক্ষার্থীরা। রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষাবোর্ডে অবস্থান নেন বিভিন্ন কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী। দাবি আদায়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া ফল দিয়েছে। যশোর বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরও গণহারে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও তাদের সবাইকে পাস করানো হয়েছে। যশোর বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংও সঠিকভাবে করা হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে যশোর বোর্ডের ফল খারাপ করা শিক্ষার্থীরা আবেদন ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না।
এর আগে থেকে সকাল থেকে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কলেজ থেকে এসব শিক্ষার্থীরা বোর্ড প্রাঙ্গণে জড়ো হয়। সাড়ে ১১ টার দিকে মিছিলসহকারে বোর্ডে প্রবেশ করতে গেলে প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে তালা ভাঙ্গার চেষ্টা ও শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হলে কর্তৃপক্ষই তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতে দেন। শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং সেখানে বিভিন্ন দাবিসমূহ নিয়ে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অটল থাকেন তারা। এ সময় দাবি আদায়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।এ বিষয়ে যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার জানান, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে। অল্প কিছু শিক্ষার্থী বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়ে এ ধরণের কর্মকাণ্ড করছে। তারা পরীক্ষা খারাপ দিয়ে খারাপ ফলাফল করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের তো কিছু করার নেই। তারা আমাদের কিছু লিখিত দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি আন্তঃবোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠাবো।
উল্লেথ্য, গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৯ জন শিক্ষার্থী।