নির্বাচন কোন সময় হবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ যত কম হয় ততই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-টোয়েন্টি নাইন সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার করা হবে। আর যত দ্রুত সংস্কার শেষ হবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে। সংস্কারের গতি নির্ধারণ করবে কত দ্রুত সময়ে নির্বাচন হবে।

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা জানান, যত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যায় সে পথেই রয়েছেন তারা। দায়িত্ব নেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিলো দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করা। তবে, সবপক্ষে ঐকমত্যে সংস্কার আগে শেষ হতে হবে, আর তা সম্পন্নে সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হবে নির্বাচন।

প্রফেসর ইউনূস জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা নিয়ে তিনি কথা দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশের দিকে নিয়ে যাবেন। আর সেই কথা তিনি রাখবেন।

radhuni
আরও পড়ুন

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে সরকার বদ্ধপরিকর: ফরিদা আখতার

ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ওয়াদা, আমরা এই ওয়াদা করেছিলাম যে যত দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হব, আমরা নির্বাচন দেব। যেন নির্বাচিতরা ক্ষমতা নিতে এবং দেশ চালাতে পারে।

তিনি জানিয়েছেন, সংবিধান, সরকারের গঠন, সংসদ এবং নির্বাচনী আইনে যেসব প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে সেগুলোতে সবার দ্রুত সময়ের মধ্যে একমত হতে হবে। যেন তারা দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা হলাম অন্তর্বর্তী সরকার। তাই আমাদের মেয়াদ যত কম হওয়া সম্ভব তত কম হওয়া উচিত।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতা ড. ইউনূসকে সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার পক্ষে মত দেন।

হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তবে এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লাগবে ইঙ্গিত দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিপ্লবের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে।